The Comedy Of Errors Summary in Bangla last part

The Comedy Of Errors Bangla Summary Part-2
The Comedy Of Errors Summary in Bangla Part-2
তা থেকে নামলেন এক বিশাল এণ্টিফেলাস ও বড় ড্রোমিও। ছোট এণ্টিফেলাস - এর সঙ্গে বড় এণ্টিফেলাসের ও ছোট ড্রোমিওর সাথে বড় ড্রোমিও চেহারায় এতটুকু অমিল নেই কোথাও। এরা এসেছে মা ও দুজনের ভাইদের খুঁজতে খুঁজতে। তাদের কপাল ভাল। জাহাজের সহৃদয় নাবিকরা তাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এফিরাস রাজ্যের নতুন নিয়মের কথা। তাই তারা নিজেদের সিরাফিউজবাসী পরিচয় গোপন করে অন্যদেশবাসী বলে জানালো। কাজেই জরিমানা বা জেলবাস কোনটাই তাদের সহ্য করতে হোল না। বড় এণ্টিফেলাস বাইরে পা দিয়েই ড্রোমিওকে টাকাকড়ি দিয়ে হোটেলে ঘর ঠিক করতে পাঠালেন। ড্রোমিও খুবই করিৎকর্মা যুবক, সে অচিরেই সব ব্যবস্থাই খুবই ভালোভাবে। Antipholus of Syracuse নগর দর্শনে বেরিয়েছিলেন এমন সময় পথে Antipholus of Ephesus সঙ্গে দেখা।

সে তো তাকে বড় ড্রোমিও মনে করে হোটেলের ঘর এবং টাকাকড়ি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। ছোট ড্রোমিওর তো চক্ষু ছানাবড়া , সে ভাবছে তার মনিব ছোর্ট এণ্টিফেলাস এরকম উল্টে - পাল্ট বকছেন কেন? সে উল্টে মনিবকে জানালো, টাকাকড়ি বা হোটেল সম্বন্ধে সে কিছু জানে না , উপস্থিত গিল্পী ঠাকুরণের হুকুমে সে মনিবকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে। —কে গিন্নী ঠাকরুন। —কেন? আপনার wife। আকাশ থেকে পড়লো Antipholus । সে তো বিয়েই করেনি। হতচ্ছাড়া Dromio এর আজ হোলো কি? মনিবের সঙ্গে এরকম বদ রসিকতা করার সাহসই বা কি করে হোল মাথার ঠিক রাখতে পারলো না বড় এণ্টিফেলাস, ড্রোমিওকে দু - চারঘা বসিয়ে দিল মনিবানির কাছে গিয়ে সবিস্তারে সব জানালো ছোট ড্রোমিও।

Comedy of Errors Bangla Anubad


অ্যাড্রিয়ানা তো রেগে একাকার। নিশ্চয়ই অন্য কোন মেয়ের ফাঁদে পড়েছে তার স্বামী, নইলে বাড়ীর আহ্বান উপেক্ষা করে। রাগে গগস্ করতে করতে ভৃত্যকে নিয়ে স্বামীর সন্ধানে চললো সে! এদিকে হোটেলে ঘর ঠিক করে এসে বড় ড্রোমিও মনিবকে আবিষ্কার করলো। কিন্তু মনিবের ব্যবহার দেখে হতভম্ব হয়ে গেল সে। তার অমন বন্ধুর মত সদাশয় মনিবের সঙ্গে নাকি কি সব বদ্রসিকতা করেছে সে। হোটেল, টাকাকড়ি এসব অর্থ বুঝতেই পারিনি। এসব কথা তো তার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। জাহাজঘাটা ছাড়ার পর এই তো প্রথম তার মনিবের সঙ্গে দেখা। বিপদের ওপর বিপদ।

অতর্কিতে সেই সারাইখানায় হাজির অ্যাড্রিয়ানা, সকলের সামনে বড় এণ্টিফেলাসকে স্বামী সম্বোধন করে যাচ্ছেতাই করে বললো সে। তারপর জোর করে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে চললো বাড়ীর দিকে। ভৃত্য অগত্যা মনিবের পিছু নিলো। বাড়ী এসে স্বামীর মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য প্রচুর খাদ্যপানীয়র ব্যবস্থা করলো অ্যাড্রিয়ানা। সে সব ঠিক আছে, কিন্তু তার স্বামী সম্বোধন আর তাদের সোহাগের প্রচেষ্টা বিব্রত, লজ্জিত করে তুললো বড় এণ্টিফেলাসকে। সে বেচারা জানে না যে বাড়ীতে সে এসেছে , এটা তার ছোট ভাই - এর বাড়ী। আর এই মহিলা তার ভাতৃবধূ। বড় ড্রোমিও এদিকে পড়েছে অনুরূপ সমস্যায়, এই বাড়ীর দাসীটি যেন সে ড্রোমিওর দীর্ঘদীনের প্রেমপাত্রী। এদিকে অ্যাড্রিয়ানার বোন লুসিয়ানার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছে বড় এণ্টিফেলাস। কিন্তু সেদিকে একটু বেশীক্ষণ তাকায় সাধ্য কি? অ্যাড্রিয়ানার কড়া নজর এড়াতে পারলে তো?

অবশেষে একসময় ফাঁক বুজে ড্রোমিওকে নিয়ে সে বাড়ী থেকে চুপিসাড়ে কেটে পড়লো এণ্টিফেলাস। রাস্তায় তার সঙ্গে এক স্বর্ণকারের সঙ্গে দেখা। সে নাকি তারই অর্ডার দেওয়া একটা মণিমুক্তাখচিত নেকলেস পৌঁছে দিতে এসেছে। কার নেকলেস? কে দিয়েছে অর্ডার। এণ্টিফেলাস তো তাজ্জব। স্বর্ণকারটিও মহা ব্যস্তবাগীশ লোক, দাম পরে নেবে জানিয়ে নেকলেসটি জোর করেই গছিয়ে দিয়ে গেল তাকে, কোন কথা কানেই নিল না। গৃহকর্তা ছোট এণ্টিফেলাস এতক্ষণে কাজের চাপ মিটিয়ে বাড়ীর পথ ধরেছে। পথে তার ভৃত্যের সঙ্গে যা। কিন্তু নিজের বাড়ীতেই প্রবেশাধিকার পেলো না তারা। শুনলো গৃহিণী নাকি তখন গৃহকর্তাকে চা জলখাবারে আপ্যায়িত করছেন।

সে আবার কি কথা। গৃহকর্তা তো সে নিজেই। তাহলে গৃহিণী নিশ্চই তার অনুপস্থিতির সুযোগ অন্যপুরুষের সঙ্গে বিশ্রামালাপে ব্যস্ত। মাথায় রক্ত উঠে গেল তার, এই সময় হঠাৎ স্বর্ণকারের সঙ্গে দেখা। বাড়ী ফিরেই সে বেচারী দেখে তার এক পাওনাদার এসে বসে আছে। তার টাকাটা আজ না মেটালেই নয়। তাই সে ফিরে এসেছে নেকলেসের টাকাটা নিতে। ছোট এণ্টিফেলাস তো শুনে আকাশ থেকে পড়লো। নেকলেসের অর্ডার সে দিয়েছিল সত্যি। কিন্তু গহনা হাতে না পেয়ে টাকা দেবে কেন? সে স্বর্ণকার বলছে  নাকি নেকলেসটা তার হাতেই নাকি দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে। আচ্ছা মিথ্যেবাদী তো? কথায় কথা বাড়ে। কলহ হাতাহাতিতে পৌঁছাবার উপক্রম হতেই স্বর্ণকার চৌকিদারকে ডেকে তার নালিশ জানালে। চৌকিদার সব শুনে বললো এখনি তার সামনে টাকা মিটিয়ে দিলে সে এণ্টিফেলাসকে ছেড়ে দেবে। মানসম্মান নিয়ে টানাটানি পড়েছে দেখে ছোট এন্টিফেলাস ড্রোমিওকে বাড়ী থেকে টাকা আনতে পাঠালো। এখন বাড়ী খালি। বড় এণ্টিফেলাস তার ভৃত্যকে নিয়ে কেটে পড়েছে। ড্রোমিওর মুখে স্বামী টাকার দরকারের কথা শুনে অ্যাড্রিয়ানা সঙ্গে সঙ্গেই টাকা বার করে দিল।

কিন্তু জট একবার পাকালে কি আর সহজে খোলে। টাকা নিয়ে ড্রোমিও পড়লো বড় এণ্টিফেলাসের সামনে। তাকেই নিজের মনিব মনে করে তার কাছেই টাকাগুলো দিয়ে চলে গেল। প্রমাদ গুণলো বড় এণ্টিফেলাস। এ কেমন দেশ রে বাবা! না চাইতেই টাকা, গয়না দিয়ে দেয়। জোর করে অপরিচিত লোককে স্বামী সম্বোধন করে বাড়ী নিয়ে গিয়ে খাতির যত্ন করে সুন্দরী মহিলারা; এ কোনও মায়াবিনীর দেশ নয়তো? মানে মানে প্রাণ নিয়ে এখান থেকে কেটে পড়াই মঙ্গল। সে তাড়াতাড়ি হোটেল থেকে মালপত্র নিয়ে জাহাজঘাটায় যাবার জন্য ছুটলো। এদিকে টাকা পাঠাতে অ্যাড্রিয়ানার দেরী দেখে অস্থির হয়ে উঠেছে ছোট এণ্টিফেলাস। চৌকিদারকে রাজী করিয়ে তাকে নিয়ে বাড়ী এসে তার হাতে টাকাটা দিয়ে নিষ্কৃতি পেল সে। 

চৌকিদার চলে গেল, কিন্তু অ্যাড্রিয়ানার ওপর মারমুখী হয়ে উঠলো এণ্টিফেলাস। স্ত্রীর ওপর বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে তার। স্বামীর রকম সকম দেখে ভয় পেয়ে গেল অ্যাড্রিয়ানা। কি সব উল্টো পাল্টা বকছে মানুষটা, মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি? পরপুরুষে আসক্ত আবার সে কবে হোল? আর টাকাও তো চাওয়ামাত্র দিয়ে দিয়েছিল ড্রোমিওকে। স্বামীর চিকিৎসা দরকার মনে করে চাকরদের সাহায্যে জোর করে ঘরে বন্ধ করে রাখলো তাকে । আর একজন বিখ্যাত ওঝাকে ডাকলো তার চিকিৎসা করার জন্য। নিজে ছুটলেন স্বর্ণকারের বাড়ীতে ব্যাপারটা সকর্ণে শুনতে। পথিমধ্যে একটি দৃশ্য দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না অ্যাড্রিয়ানা।

তার স্বামী, যাকে সে এইমাত্র ঘরে বন্ধ করে রেখে এসেছে , সে কি করে এরই মধ্যে ছাড়া পেয়ে জাহাজঘাটার রাস্তায় চলেছে? গাড়ী থেকে নেমে পড়ে স্বামীকে পাকড়াও করলো অ্যাড্রিয়ানা। বিপদ বুঝে এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে সামনের গির্জার ভিতরে পালিয়ে গেষ এণ্টিফেলাস। দ্বিতীয়বার ঐ মায়াবিনীর খপ্পরে পড়তে রাজী নয় সে। অ্যড্রিয়ানা পড়ে গেল মহা বিপদে। গির্জার দরজায় গিয়ে অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করলো সে। কিন্তু সেখানকার পাদ্রী বললেন, শরণাগতকে আশ্রয় দেওয়াই তাঁর ধর্ম । গির্জায় কেউ আশ্রয় নিলে তাকে জোর করে বার করে দিত পারবেন না তিনি।

অগত্যা অ্যাড্রিয়ানা গেল ডিউকের কাছে দরবার করতে। এদিকে পনেরো দিন অপেক্ষা করার পরও যখন সওদাগর ঈজিয়ান মুক্তিপণের ব্যবস্থা করতে পারলো না। তখন নিরুপায় হয়েই সেদিন ডিউক তাকে নিয়ে এসেছেন গির্জার কাছেই বধ্যভূমিতে। অ্যাড্রিয়ানা সেখানেই কাঁদতে কাঁদতে এসে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালো। ঠিক সেই সময় ছোট এণ্টিফেলাস কোন রকমে ওঝাদের হাত ছাড়িয়ে পাগলের মত মূর্তি নিয়ে ছুটে এসেছে ডিউকের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে। ডিউক তো পড়লেন মহাসমস্যায়। এণ্টিফেলাসকে তিনি নিজের ছেলের মতই ভালবাসেন। তার গুণের কদর করেন। অ্যড্রিয়ানাও রূপে গুণে অনন্যা বলেই জানেন। কার কথা বিশ্বাস করবেন? কার পক্ষে রায় দেবেন। এদিকে তাকিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী সওদাগর ঈজিয়ানের চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। ঐ তো তার পুত্র এণ্টিফেলাস।

ডিউককে সম্বোধন করে তিনি বললেন, আর তার মরতে ভয় নেই, কেন না মরার আগে প্রিয় পুত্রের মুখ তো দর্শন করতে পেরেছেন। ছোট এণ্টিফেলাস অবাক হয়ে গেল, এই বৃদ্ধ তাকেই পুত্র সম্বোধন করছেন? একে তো সে আগে কখনো দেখেই নি।বাইরে গোলমাল শুনে ইতিমধ্যে বড় এণ্টিফেলাস গির্জা থেকে বেরিয়ে দেখতে এসেছে ব্যাপারটা কি। তাকে দেখে সমবেত মানুষরা তো হতভম্ব। এ কি যাদুর খেলা নাকি? দুটি মানুষ এরকম হুবহু একরকম দেখতে হয় কি করে? একমাত্র বৃদ্ধ সওদাগরই বুঝলেন আসল ব্যাপারটা কি। দীর্ঘদিন পরে দ্বিতীয় সন্তানটিকেও ফিরে পেয়েছেন তিনি। এই গির্জা সংলগ্ন মঠেই এতকাল সন্ন্যাসিনীর বেশে দিন কাটাচ্ছিলেন ঈজিয়ানের স্ত্রী এমিলিয়া। ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনিও দেখলেন এই আশ্চর্য দৃশ্য। এগিয়ে এলেন তিনি। নিজের স্ত্রীকে চিনতে পেরে আনন্দে বারুদ্ধ হয়ে গেল বৃদ্ধের। সব ভাল, যার শেষ ভাল। সব কুহেলীর অবসান হোল। এই স্বজন মিলনের দৃশ্যে সমবেত জনতা, এমনকি ডিউকের চোখেও জল এসে গেল। হারান মাণিক পেয়ে বৃদ্ধ বৃদ্ধা আনন্দসাগরে ভাসলেন। এমিলিয়া পুত্রবধু অ্যাড্রিয়ানাকেও টেনে নিলেন বুকে। দুই ড্রোমিও পরস্পরের দিকে চেয়ে রইল যেন দর্পণে প্রতিবিম্ব দেখছে।

Share This Post

Previous Post Next Post
No Comments Found
Want to Comment Click Here

Answer ELN Privacy To be published, comments must be reviewed by the administrator

comment url