Hamlet Bangla Summary Part -1

নাটকের নাম: হ্যামলেট, প্রিন্স অব ডেনমার্ক
Hamlet Bangla Summary
এলসিনোর দুর্গ ডেনম কের রাজপ্রাসাদের ঠিক লাগোয়া। রক্ষী ফ্রান্সিস রাত্রিবেলায় পাহারা দিচ্ছিল সেখানে। শীতরাত্রির প্রচণ্ড ঠান্ডা পুরু চামড়ার পোশাক ভেদ করে গায়ের চামড়া, মাংস, হাড় সব যেন দাঁত বসাতে চাইছে, গায়ের রক্ত হিম হবার জোগাড়। রাত্রে পাহারা দেবার ব্যাপারটা খুবই আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে রক্ষীদের কাছে। ভীতির কারণ অবশ্য একটাই। কয়েক রাত ধরেই দেখা যাচ্ছে একটা রহস্যময় প্রেতমূর্তি দুর্গপ্রাচীরে এসে দাঁড়াচ্ছে। সেই মূর্তিটা চুপচাপ তাকিয়ে থাকে রক্ষীদের দিকে। পাহারাদারদের মধ্যে যারা তাকে দেখেছে , তারা সবাই বলছে কী যেন বলতে চায় সেই রহস্যময় প্রেত মূর্তিটা, অথচ পারে না। রক্ষীদের কথা অনুযায়ী সেই মূর্তি দেখতে অবিকল প্রাক্তন রাজার মতো — যিনি মারা গেছেন অল্প কিছুদিন আগে। প্রতি রাতে ঐ প্রেত মূর্তির দেখা পেয়ে, রক্ষীরা ভয় পেয়ে ব্যাপারটা কানে তুলেছে হোরেশিওর।

হোরেশিও ছিল মৃত রাজার পুত্র হ্যামলেটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই আশ্চর্যজনক খবর শুনে খুবই বিস্মিত হয়েছেন হোরেশিও। রক্ষীদের কথার সত্য - মিথ্যে যাচাই করতে তিনি নিজেই আজ দুর্গে এসেছেন রাতের বেলায় পাহারা দিতে। রাতের প্রহর নীরবে গড়িয়ে চলেছে দুর্গের পেটা ঘড়িতে বেজে ওঠা ঘণ্টার আওয়াজের সাথে সাথে। হোরেশিওর উদ্দেশ্য কিন্তু ব্যর্থ হয়নি। শেষ রাতে সেই প্রেতমূর্তি আবার এসে দাঁড়াল দুর্গপ্রাচীরে। হোরেশিও নিজেও অবাক হলেন হ্যামলেটের পিতা মৃত রাজার আদলের সাথে প্রেতমূর্তির অবিকল মিল দেখে। ঠিক তার পরদিনই তার বন্ধু হ্যামলেটকে সেই রহস্যময় প্রেতমূর্তির আগমনের কথা জানালেন হোরেশিও। পিতার মৃত্যুকালে হ্যামলেট ছিলেন রাজধানীর বাইরে। 

হ্যামলেট বাংলা সামারি


Hamlet বাইরে থেকে ফিরে আসার পর তিনি তার মায়ের কাছে শুনতে পেলেন যে একদিন দুপুরে তার বাবা যখন বাগানে শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন, এক বিষাক্ত সাপ সে সময় দংশন করে তাকে, আর তার ফলেই মারা যান তিনি। বাবার এই অপঘাত মৃত্যুতে হ্যামলেট খুবই দুঃখ পেলেন।কিন্তু Hamlet এর চেয়ে বেশি মানসিক আঘাত পেলেন যখন তার বাবার মৃত্যুর পর কিছুদিন পেরোতে না পেরোতেই কাকা ক্লডিয়াস তার বিধবা মা রানি গারট্রুডকে বিয়ে করে রাজা হয়ে বসলেন ডেনমার্কের সিংহাসনে। এ ব্যাপারটাকে দেশের লোকেরা খুশি মনে মেনে নিতে না পারলেও ভয়ে তারা মুখ বন্ধ করে রইল।

Hamlet এর বাবার মৃত্যুর ঠিক পরেই এই বিয়ে আর সিংহাসন অধিকারের ঘটনাকে তিনি কিছুতেই  মেনে নিতে পারছেন না হ্যামলেট। আবার হদিসও করতে পারছেন না সত্যিই কী ঘটেছিল। একটা সন্দেহের দোলা! তার বন্ধু হোরেশিও ঠিক এ সময় তাকে শোনালেন সেই প্রেতমূর্তির নিয়মিত আগমনের কথা। সেই মূর্তিটা নাকি দেখতে ঠিক তার বাবার মতো— কথাটা শুনে হ্যামলেট স্থির করলেন তিনি নিজে দাঁড়াবেন সেই মূর্তির সামনে। সেদিন রাত প্রায় শেষের পথে , বন্ধু হোরেশিওর সাথে হ্যামলেট এলেন এলসিনোর দুগে পাহারা দিতে। সেই একই জায়গায় অন্যান্য দিনের মতো দেখা দিল প্রেতমূর্তিটা।


সেটা চোখে পড়ামাত্রই হ্যামলেট চেঁচিয়ে উঠে বললেন, বাবা! ডেনমার্কের রাজা! তিনি চেঁচিয়ে ওঠার সাথে সাথে সেই প্রেতমূর্তিটা হাত নেড়ে ডাকল তাকে। কিছু বুঝতে না পেরে তিনি তাকালেন হোরেশিওর দিকে। তুমি নির্ভয়ে এগিয়ে যাও, হ্যামলেট , তাকে আশ্বস্ত করে বললেন হোরেশিও, উনি হাত নেড়ে তোমাকে ডাকছেন। মনে হয় উনি তোমাকে কিছু বলতে চান। মোহাচ্ছন্নের মতো পা ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন হ্যামলেট। তাকে অনুসরণ করে কিছুদূর যাবার পর তিনি নিশ্চিত হলেন যে এই প্রেতমূর্তিটা তার বাবারই। তিনি লক্ষ করলেন যে এই মূর্তিটার পরনে সেই একই পোশাক যা জীবিত অবস্থায় রাজা পরতেন। শুভ বা অশুভ, যেরূপ প্রেতাত্মাই আপনি হন না কেন, চিৎকার করে বলল হ্যামলেট, যে রূপেই আপনি আমার কাছে এসে থাকুন, আমি কথা বলতে চাই আপনার সাথে।

আমাকে কিছু বলার থাকলে আপনি স্বচ্ছন্দে তা বলুন, রোজ রাত্রে আপনি কেন এভাবে এখানে আসেন? মৃদু স্বরে জবাব দিল সেই প্রেতমূর্তি, Hamlet ! আমি তোমার নিহত বাবার ছায়ামূর্তি। চিৎকার করে বলে উঠল হ্যামলেট, নিহত? কী বলছেন আপনি? উত্তর দিল প্রেতমূর্তি, আমার সব কথা আগে শোন। তোমার কাকা ক্লডিয়াসই হত্যা করেছে আমায়৷ একদিন আমি যখন বাগানে শুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলাম, সে সময় সবার নজর এড়িয়ে হেবোনা গাছের বিষাক্ত রস আমার কানে ঢেলে দেয় ক্লডিয়াস। আর ক্লডিয়াসের ঐ চক্রান্তে তাকে সাহায্য করেছে আমার স্ত্রী, তোমারই গর্ভধারিণী গারট্রুড। এ সব কারণে আমি খুব অশান্তিতে আছি। হ্যামলেট, তুমি আমার একমাত্র সন্তান। সবকিছু বললাম তোমাকে। এ অন্যায়ের প্রতিবিধান তুমি করো, বিদায়!  বলেই অদৃশ্য হয়ে গেল সেই প্রেতমূর্তি, আর বিস্ময়ে হতবাক হ্যামলেট তখন অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ল দুর্গের ছাদের ওপরে। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি বিশ্বাস করে প্রেতাত্মার মুখে শোনা সব কথা জানালেন বন্ধু হোরেশিও আর মার্সেল্লাস নামে এক রক্ষীকে। সেইসাথে এই প্রতিশ্রুতিও তিনি তাদের কাছ থেকে আদায় করলেন যে তারা কাউকে কিছু বলবে না। 

যা কিছু দেখলাম আর তোমার মা কিছু শুনলাম, তা সবই অদ্ভুত, মন্তব্য করলেন Horatio মৃত আত্মা কি কথা বলতে পারে? আমাদের দৃষ্টির অগোচরে এই পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু ঘটছে যার কোন সঠিক ব্যাখ্যা বইয়ে নেই। Horatio জানালেন Hamlet! সে রাতের ঘটনা Hamlet এর মনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছে। Hamlet সে নিজেই বার বার প্রশ্ন বলছে ‘বাবার প্রেতাত্মার মুখে যা শুনলাম তা কি সত্য? সত্যি হলে অবশ্যই এর প্রতিশোধ নিতে হবে, আবার পরক্ষণেই তার মনে হল, শুধু প্রেতাত্মার মুখের কথায় বিশ্বাস করে প্রতিশোধ নেবার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা কি ঠিক হবে? এর চেয়ে হাতে নাতে যুক্তিগ্রাহ্য কোনও প্রমাণ কি সংগ্রহ করা যায় না যাতে আমি নিশ্চিত হতে পারি কাকার পাপ সম্পর্কে? হ্যামলেট পাগলের মতো হয়ে উঠলেন রাতদিন এ সব কথা ভেবে ভেবে। রাজ্যের বৃদ্ধ মন্ত্রী পলোনিয়াসের একটি ছেলে ছিল, নাম লিয়াটিস আর মেয়ের নাম ওফেলিয়া। দেখতে অপরূপ সুন্দরী ছিল ওফেলিয়া। ওফেলিয়া যেমন মনে প্রাণে ভালোবাসত তরুণ হ্যামলেটকে, তেমনি হ্যামলেটও ভালোবাসতেন তাকে । রাজ্যের সবাই মেনেই নিয়েছিল যে Hamlet এর সাথে Ophelia বিয়ে হবে।

Share This Post

Previous Post
No Comments Found
Want to Comment Click Here

Answer ELN Privacy To be published, comments must be reviewed by the administrator

comment url